অবশেষে আরো কঠোর আন্দোলনের দিকে গেলেন শিক্ষার্থীরা। এবার উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দিনভর নানা কর্মসূচী শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১২টার মধ্যে শাবিপ্রবির উপাচার্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে এর পর থেকেই আমরণ অনশন শুরু হবে। একই সাথে প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেষণা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদকেও পদত্যাগ করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তারা। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০০জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এক দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ২ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সংবলিত চিঠি রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রেরণ করেছেন বলেও আন্দোলকারীরা জানান।
গণস্বাক্ষর-বিক্ষোভ, আ.লীগ নেতাদের সংহতি: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে দিনভর শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর ও বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে। এতে সংহতি জানিয়ে গণস্বাক্ষরে অংশ নিয়েছেন সিলেটের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এবং পরে ভিসির বাস ভবনের সামনে এ গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়।
এসময় সিলেটের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এসে আন্দোরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন। তাদের আন্দোলনকে যৌক্তিক দাবি করে গণস্বাক্ষরে স্বাক্ষর করেন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ।
এর আগে নেতৃবৃন্দের বলেন, সিলেটের মাটিতে অনেক আনদোলন সংগ্রাম করে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকুক আমরা চাই না। তাই সকলের সহযোগিতা নিয়ে আবারো ক্লাস পরীক্ষা চালু হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুক আমরা সেটা চাই।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে সংঘটিত ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। আমরা তোমাদের দাবি নিয়ে কথা বলতে এসেছি। তোমাদের দাবি নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষা মনত্রণালয়ের সাথে বসে আলেঅচনায় বসবো। তবে আমাদের একটু সময় দিতে হবে। পাশাপাশি তোমরা শান্তিপূর্র্ণভাবে আন্দোনৈ চালিয়ে যাও। আমরা তোমাদের দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছি। তবে নজর রাখবা মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি যাতে তোমাদের আন্দোলনকে অ্যিদিকে নিয়ে যেতে না পারে। আমরা সবসময় তোমাদের পাশে আছি এবং প্রক্টরিয়াল বডি এবং ছাত্র উপদেষ্টা বরিুদ্ধে আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখবো। এছাড়া আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এতে চিকিৎসাজনিত যাবতীয় ব্যয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। এদিন বিকেল পৌঁনে ৫ টা থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বাস ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) তালা ভেঙে অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধার। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের শর্টগানের গুলি-টিয়ারশেল নিক্ষেপ।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা: পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৩শ’ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা (নং-৫(০১)’২২) হয়েছে। সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানার এসআই (নিরস্ত্র) মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তবে মামলায় কোনো শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়নি। জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত)মো. আবু খালেদ মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।
এরপর রোববারে (১৬ জানুয়ারি) ভিসিকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এসএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এর নেতৃত্বে পুলিশ ও এসএমপির ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধারে পুলিশ শর্টগানের গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এজাহারে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীরা শুধু ইটপাটকেলই করেনি, আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিও ছুঁড়েছিল।’ সেদিন বিকাল সোয়া ৩টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ভিসিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। তারা ড. এমএ ওয়াজদ আলী আইসিটি ভবনে তালা দিয়ে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এদিন বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ ওই ভবনে ঢুকে শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষর্থীদের দাবি নিয়ে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ করেন। এমন সময় ভিসিকে ভবন থেকে বের করার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা কোনো কথা কর্ণপাত না করে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনরত ২/৩শ’ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী কর্তব্যরত পুলিশের ওপর হামলা করে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সরকারি আগ্নোয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি ছুঁড়ে।
এ ছাড়াও পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীরা সেদিন সোয়া ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা অবধি ক্যাম্পাসে অবস্থান করে থেম থেমে পুলিশের ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জানমাল, আগ্নেয়াস্ত্র ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় ১১ রাউন্ড রাবার কার্তুজ ও ২০ রাউন্ড সিসা কার্তুজসহ মোট ৩১ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুঁড়ে। এ ছাড়া সিআরটি ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভিসিকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ইটপাটকেল ও ককটেলের আঘাতে ৬ কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১৩ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা ওসমানীতে চিকিৎসা রয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
রাষ্ট্রপতির কাছে শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি: শাবিপ্রবির ভিসির পদত্যাগ চেয়ে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য মো. আব্দুল হামিদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি পাঠ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে রাষ্ট্রপতির কাছে শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান তারা।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে আন্দোলনরত অবস্থায় এ চিঠি পাঠ করেন শিক্ষার্থীরা। খোলা চিঠিতে তারা বলেন, “আমরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। ১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ বীরাঙ্গনার ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের বিধি মোতাবেক, আপনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আপনি সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক আপনার প্রতিনিধিস্বরূপ উপাচার্য নিয়োগ করে থাকেন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা দেশের কল্যাণে নিজেদের প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে অধ্যয়নে নিবেদিত আছি।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) শাবিপ্রবির ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে নিরাপদ আবাসন পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ৩ দফা দাবিতে আন্দোলনরত ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরস্থ বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের আবাসিক ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উস্কানিতে সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশের নিষ্ঠুর হামলা চালানো হয়। এসময় বাংলাদেশের জনগণের টাকায় ক্রয়কৃত আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের স্বীকার হয় নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী, যাদের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২০ এর বেশি। এরমধ্যে কারো মাথা ফেটেছে, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচন্ড জখম হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে অনেকে ।
ছাত্রীদের ওপর অসম্ভব নিষ্ঠুর ভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা মুহুর্মুহু লাঠি চার্জ করেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। দাবি না মেনে উল্টো পুলিশী হামলায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলার ঘটনায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন তা সরাসরি সংবিধান বিরোধী এবং আপনার কর্তৃক জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্বের সরাসরি বরখেলাপ।
এ ঘটনায় শাবিপ্রবির সাবেক ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থী হতবাক এবং সংক্ষুদ্ধ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, আমাদের মহামান্য আচার্য তাঁর জীবন অভিজ্ঞতা থেকে এটুকু বুঝতে পারেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ, দশ ও নিজেদের ভালোমন্দ অনুধাবন করার সক্ষমতা রাখে। এ দিনের মত পরিষ্কার যে আপনার প্রতিনিধি হিসেবে জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমদ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দ্বায়িত্ব পালনের সকল নৈতিক, যৌক্তিক ও সাংবিধানিক যোগ্যতা হারিয়েছেন।
এ ঘটনা আমাদের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা করেছে, এই অথর্ব, অযোগ্য ও স্বৈরাচারী ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী ক্ষমতায় বহাল রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলমন্ত্রের পরিপন্থি। বর্তমানে কোনো শিক্ষার্থীই এই উপাচার্যের দায়িত্বে থাকাকালে ক্যাম্পাসে নিরাপদ বোধ করছে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গতদিনের হামলার পর আজ (সোমবার) সারাদিন ক্যাম্পাসে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে জলকামান ও রায়টকার সহ পুলিশের উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা আমাদের মহামান্য আচার্যর কাছে আবেদন করছি অবিলম্বে ক্যাম্পাসে মোতায়েনকৃত অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বিধান করুন। এ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা উপচার্যের পদ থেকে গতকালের হামলার মূল মদদদাতা জনাব ফরিদ উদ্দিন আহমদের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করে তাকে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে মহামান্য আচার্যের কাছে আমাদের আবেদন, আপনার সরাসরি হস্তক্ষেপে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের পদত্যাগ নিশ্চিত করে, একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে অতিসত্ত্বর নিয়োগ দিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে উদ্যোগ নিন”।
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।