সাংবাদিকতা-ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স চালুর উদ্যোগ-
উচ্চ শিক্ষার প্রসারে হারানো গৌরব, সুনাম ফেরাতে চায় নানা কারণে বিতর্কে পিছিয়ে পড়া্ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ)। শিক্ষা-গবেষণায়র মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
শনিবার (০৯ এপ্রিল) সিলেটে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিত্বশীল সাংবাদিকদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্ট্রিবোর্ড। আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ এ জন্য প্রয়োজন সকলের (সাংবাদিকদের) সহযোগীতা চেয়ে বলেন, অতীতের সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনের আয়োজন করতে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছ। ৯ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সপ্তাহ শুরু হয়েছে। এ সপ্তাহের আওতায় আগামি ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হলে বিশেষ সুযোগ পাবেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০১ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়েই সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়। মূলত; এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যাতে অল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার নিশ্চিতেই বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা। শুরু থেকেই সুনামের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা কার্যক্রমেও বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা বিসিএস, জুডিশিয়াল সার্ভিস, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাং, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানীসহ দেশে-বিদেশ মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন। করোনাকালে গোটা বিশ্ব যখন বিপর্যস্থ। তার ঢেউ এসে লাগে শিক্ষা আমাদের ব্যবস্থায়ও। এর বাইরে ছিলনা বিশ্ববিদ্যালয়টি। তদুপরি, নানা কারণে ইউজিসি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে টু-স্টারসহ সতর্কতা জারি করেছিল। মূলত, ইউজিসিকে চিঠি দিয়েই অনুমতি ত্রিপলি অনুষদ খোলার কারণে এমন সতর্কতা জারি করা হয়। অতি সম্প্রতি ইউজিসি সেই সতর্কতা তুলে নিয়েছে। ফলে নতুন-পুরাতন শিক্ষার্থীদের সকল উদ্বেগ উৎকন্ঠা নিরসন হয়েছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমে নতুন মাত্রায় গতির সঞ্চার হয়েছে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং ইউজিসিকে ধন্যবাদ জানান।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দু’টো সেমিস্টারে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার নিয়মিত ক্লাব পরিক্ষার পাশাপাশি চলছে সহশিক্ষা কার্যক্রমও। একই সঙ্গে বর্তমান শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় আবারো মুখর হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রতিদিন কোনো না কোনো বিভাগের আয়োজনে ব্যস্ত থাকছে ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে আইন, ব্যবসা, প্রশাসন, ইংরেজি, ইসিই এবং কম্পিউটার সায়েন্স-এই ৫টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা স্মাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে পারেন। এছাড়া ইংরেজি, বিবিএ এবং আইন বিষয়ে স্মাতকোত্তর ও কম্পিউটার সায়েন্স ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের জন্য ৩ বছর মেয়াদি বৈকালিক বিএসসি কোর্স চালু রয়েছে জানিয়ে বলা হয়, সিলেট তথা দেশের মধ্যে সচবেয়ে কম খরচে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া আমেরিকান দূতাবাস পরিচালিত এশিয়ার দ্বিতীয় রিসোর্স সেন্টার ‘আমেরিকান কর্ণার’ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৫ সাল থেকে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামি সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণে শর্টকোর্স ও ডিপ্লোমা এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে সকলের পরামর্শ চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সংশ্লিষ্টরা।
এসময় বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. শহিদুল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দ, ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম আহমদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব এর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীনরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।