হাওর বেষ্টিত ভাটির জনপদ সুনামঞ্জের তাহিরপুরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে কয়েকটি হাওরের ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী’ জাহিদ ফারুক এমপি আসেন তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের নজরখালী ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও গুরমা বাঁধের বর্ধিত অংশ ও ক্ষতিগ্রস্থ হাওর পরিদর্শন করতে।
হাওর পরিদর্শন শেষে তাহিরপুর থানাঘাটে স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, সুনামগঞ্জে ৭২৭টি পিআইসি রয়েছে। পিআসসির নিয়ম হলো যে এলাকায় যে কৃষকের জমি আছে এবং আরো কয়েকজনকে নিয়ে পিআইসি গঠন করতে হবে। এখানো সব কৃষক কিন্তু সে কাজ করাতে পারবেনা। সব কৃষকের আর্থিক ক্ষমতা এবং ম্যানেজ করার মতো ক্ষমতা তাদের নেই। যেখানে যে কৃষকের আর্থিক ক্ষমতা নেই সেখানেই বাঁধের কাজ হয়েছে দুর্বল।আপনারা দেখেন ৭২৭টা পিআইসি’র মধ্যে কয়টা পিআইসি ভাঙছে। মাত্র তিনটা যায়গায় ভাঙছে। আর কয়েকটা জায়গায় সি-প্লেস হয়েছে সেগুলা আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। আপনারা যদি সমষ্টিগতভাবে দেখেন তাহলে সেরকম কোন ক্ষয় ক্ষতি হয় নাই। তিনি আরো বলেন, এখন যেটা শুরু হয়েছে মিডিয়ার সাংবাদিকরা এইটার উপরে আপনারা পুরো দেশের জনগণকে আতঙ্কিত করতেছেন এটা কিন্তু সঠিক না। আমি দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানাবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আপনারা আরো নিজেকে সংবরণ করেন। সঠিক তথ্যটা তুলে ধরেন। আমরা এখানে কাজ করতে আসছি। জনগণের সেবা করতে আসছি। প্রতিনিধির কাছে এমন বক্তব্য (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে)
মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের ভিডিওটি সাথে সাথেই পুরো জেলায় ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে হতভম্ব সুনামগঞ্জের সাংবাদিক মহল। তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই বলা বলি করছেন, সরকারের একজন দায়িত্বশীল প্রতিমন্ত্রীর এভাবে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একজন মন্ত্রীর বিষেধগার কোনভাবেই কাম্য নয়।
‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই এ প্রতিবেদককে বলেছেন, হাওরের ক্ষয়ক্ষতিকে মন্ত্রী খুব সামান্য বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। অথচ হাওরবাসীর জন্য সরকার কি উদ্যোগ নিয়েছে বা নিবে তার কিছুই বলেননি তিনি তাহিরপুরে।’
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।