বারবার কর্মকর্তাদের বদলির কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে মন্তুব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দুটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ শুরু না হলে আরও দুর্ঘটনা বাড়বে এবং উন্নয়ন ব্যয় বাড়বে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নতুন যোগদানকৃত নার্সদের বরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ছয় লেন ও রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বারবার বদলী করা হচ্ছে। যে কারণে উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আপনারা এটা তুলে ধরেন।
তাছাড়া সিলেটের বাধাঘাট বাইপাসের কাজ ২০১০ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শুরু করেছিলেন। এটা এখনো টেন্ডার পর্যায়ে আছে। যারা প্রকৌশলী ছিলেন তারা ডিজাইন করেন। যখন শুরু হয়, তখন কর্মকর্তারা বদলী হয়ে যান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, যে কোনো প্রজেক্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত একজন প্রোজেক্ট ডাইরেক্টর থাকা।আমরা একটা হাসপাতালের জায়গার খোঁজতেছি। নগরের শাহী ঈদগাহে সংক্রমব্যাধী হাসপাতাল ভেঙে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ইউনিট করার চেষ্টা করছি। কিন্তু ভুমিখেকো চক্র সেটিকে গিলে খেতে চাচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে, সেই চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্দেশনা দেন।
সিলেটে রেলপথ ডাবল লেনে উন্নীত করণের বিষয়টি দু:খজনক আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রেললাইন এখনো অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে।ঢাকা সিলেট মহাসড়কও সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরে কাজ শুরুর কথা। কিন্তু কর্মকর্তা বদলীর কারণে সেটার ব্যয় এখন ১৭ হাজার কোটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে। একইভাবে রেলওয়ের ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ছিল। ব্যয় বেশি মনে করে সেটা যাচাইয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন ২৩ হাজার কোটি টাকায় হয় কিনা, সন্দেহ আছে। এটা অত্যান্ত দু:খজনক।
এরআগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০২০-২১ সালে নতুন যোগদানকৃত নার্সিংদের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশে ২ হাজার মানুষের বিপরীতে একজন চিকিৎসক এবং ৫ হাজার মানুষের জন্য মাত্র একজন নার্স। এটা অত্যন্ত অপ্রতুল। মানুষের প্রয়োজনীয় চিকিৎসায় চিকিৎসক ও নার্সদের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
আর বহি:র্বিশ্বে নার্সদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি নার্সদের কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
ড. মোমেন আরও বলেন, উন্নত দেশগুলোতে হাসপাতালের সামনে দৃষ্টিনন্দন বাগান রয়েছে।ওসমানী হাসপাতালে নয়নাভিরাম একটি বাগান দরকার। প্রকৃতি দেখে ও বাগানে বসে রোগীরাও অনেক মানসিক প্রশান্তি পায়।
বাংলাদেশ নার্সিং এসোসিয়েশন (বিএনএ) ওসমানী হাসপাতাল শাখার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনএ ওসমানী শরখার সভাপতি শামিমা নাছরিন। বিএনএ সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. ময়নুল হক।
উপস্থিত ছিলেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুর রহমান রোমান, কলেজ ছাত্রলীগ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নাজমুল হাসান প্রমখ।
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।