সিলেটের গোলাপগঞ্জে পাওনা টাকার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে হাত খোয়াতে হলো আওয়ামী লীগ নেতা চিনু মিয়াকে। আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে বাধ্য হন। আহত চিনু মিয়া চৌধুরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন।
গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার আমুড়ার শীলঘাট কুমারপাড়া গ্রামে এ ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গুরুতর আহত চিনু মিয়া চৌধুরী আমুড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও আমুড়া ইউনিয়নের শীলঘাট গ্রামের মৃত হিরা মিয়া চৌধুরীর ছেলে।
এ ঘটনায় চিনু মিয়ার ভাতিজা সালমান আহমদ চৌধুরী অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের শীলঘাট রংপুর গ্রামের আবদুল মন্নানকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি দায়ের করেছেন। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবদুল মন্নানের ছেলে মাহাদীকে (১৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহত আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা সালমান আহমদ চৌধুরী বলেন, আমার চাচা ছিনু মিয়া মাটি কাটার ঠিকাদার। আবদুল মন্নানের নিকট মাটি কাটা বাবদ ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পাওনা আছে তার। এই পাওনা টাকা আবদুল মন্নানের কাছে চাইলে তা কাল হয়ে দাঁড়ায় আমার চাচার জন্য। গত শুক্রবার আমার চাচা ছিনু মিয়া বাড়িতে আসার পথে শীলঘাট কুমারপাড়া গ্রামে আসামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবদুল মন্নান ও তার ছেলেসহ আরও ৬ থেকে ৭ জনকে নিয়ে আমার চাচার ওপর হামলা করে। এ সময় আবদুল মন্নানের দায়ের কোপে আমার চাচার বাম হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে থানার গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইসচার্জ হারুন-উর রশিদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় মারাত্মক আহত হওয়ার পর ছিনু মিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তার বাম হাত বিচ্ছিন্ন করে নেন। এ ঘটনায় একজনেকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
নতুনসিলেট২৪ডটকম / এএ
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।