হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে থামছেই না কালনী-কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন। মাত্র তিনদিন পুর্বে প্রশাসনের অভিযানে অর্থদন্ডের পর আবারো নদী থেকে ফের শুরু হয়েছে অবৈধ বালু উত্তোলন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটায় উপজেলা সদরের বাঁশ মহাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযানে নামেন উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী। এ সময় কালনী- কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধ পন্থায় নদীর তলদেশ কেটে বালু উত্তোলন করার দায়ে মোঃ সুরুজ মিয়া(৩৬) এবং সুমন মিয়া(৩০) নামে দুই ড্রেজার মেশিন শ্রমিককে আটক করা হয়। এ সময় আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী। দন্ডপ্রাপ্ত সুরুজ মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসির নগর উপজেলার মনকুটা(হাজী বাড়ী) গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলাম মিয়ার পুত্র এবংসুমন মিয়া কিশোরগঞ্জেের ভৈরবপুর পশ্চিমপাড়ার হাজী নুর নবী মিয়ার পুত্র।
জানা যায়, বিগত কয়েক মাস যাবত আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্হানে বেশকটি বালু খেকো চক্র কালনী-কুশিয়ারা নদীর তলদেশ কেটে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্হানে প্রতিঘনফুট ৮/১০ টাকা ধরে বিক্রি করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনে জড়িত বিভিন্ন শ্রমিকদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, অর্থদন্ড ,মুচলেখা প্রদান করা হলেও বালু উত্তোলনের মুলহোতারা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। এরপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে আবারো চলে বালু উত্তোলন।
এমতাবস্থায় বিগত প্রায় মাস খানকের ও বেশী সময় ধরে আবারো চক্রটি অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু করলে গত ২৭ এপ্রিল (বুধবার) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শফিকুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একজনকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং দুইজনকে মুচলেখা প্রদান করেন। কিন্তু অভিযানের ৭২ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই আবারও দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে উপজেলা সদরের বাঁশ মহাল সংলগ্ন এলাকার কালনী- কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু হলে অভিযানে নামেন উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪,৫ ধারা অমান্য করে নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলনের দায়ে সুরুজ মিয়া ও সুমন মিয়া উভয়ের প্রত্যেকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে আজমিরীগঞ্জ থানার এ এস আই মহসিন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সার্বিক সহযোগীতা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা সালেহা সুমী জানান -নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে নদী পাড়ের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।
অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নতুনসিলেট২৪ডটকম / এএ
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।