ছাতকে নিখোঁজের ২৪ ঘন্টা পর গৃহবধূ নাজমিন বেগমের (২৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামীর বাড়ির পুকুর থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় নাজমিন বেগমের স্বামী সুমন মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
গত রবিবার (৩ অক্টোবর) সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় গৃহবধূ নাজমিন বেগম। নিখোঁজের একদিন পর সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে বাড়ির পুকুরে স্থানীয় লোকজন লাশ ভাসতে দেখে জাহিদপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে।
জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর গ্রামের ছুরাব আলীর কন্যা নাজমিন বেগমকে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে দেন একই উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের কাটাশলা গ্রামের সমর আলীর পুত্র সুমন মিয়ার সাথে। মোজাম্মেল নামের ৯ মাস বয়সের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে এ দম্পতির। সম্প্রতি ওই গৃহবধূকে মারধরসহ নির্যাতনের অভিযোগ উঠে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। নাজমিন বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধে অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়া আসক্ত থাকার অভিযোগ করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পুত্রকে নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যান।
পারিবারিকভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করে ২ অক্টোবর পুত্রবধূকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসেন শ্বশুর সমর আলী। কিন্তু ৩ অক্টোবর সকালে নাজমিন বেগমকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে তার পিত্রালয়ে জানানো হয়। এ ঘটনায় ছুরাব আলী বাদী হয়ে জামাতা সুমন মিয়া (২৮), তার পিতা সমর আলী (৫৫) ও মাতা দিলারা বেগম (৪০) কে অভিযুক্ত করে ওইদিন রাতেই ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী সুমন মিয়াকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
লাশ ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।