সিলেট

মধ্যনগরে ২৩ দপ্তর চালাচ্ছেন ৯ কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাবঞ্চিত উপজেলাবাসী

‘পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে চলে দাপ্তরিক কাজ’

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩ ০০:৫৯

ছবি-সংগৃহিত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর থানাকে উপজেলার স্বীকৃতি দিয়ে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই। এরপর গড়ে ওঠে চাকচিক্য অবকাঠামো। ইউএনও নাহিদ হাসান খানের যোগদানের মধ্য দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।কিন্তু গত ২৮ মে তিনি অনত্র বদলী হওয়ায় পদটি শূন্য রয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ এ পদ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদও শূন্য রয়েছে শুরু থেকেই। অতিরিক্ত কর্মকর্তা দিয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না উপজেলাবাসী। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জনগণের দাবির মুখে চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই উপজেলায় এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নিজস্ব ভবন তৈরি করা হয়নি।উপজেলার প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

উপজেলার ২৩টি দপ্তরের ২১২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন উপসহকারী প্রকৌশলী,তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীসহ মাত্র নয়জন দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্যদিকে, র্ধমপাশা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সমবায় কর্মকর্তা, হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা মধ্যানগর উপজেলায় তারা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে এখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।ধর্মপাশার ইউএনও এখন এ উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় দাপ্তরিক কাজে ধর্মপাশা যেতে হয়। ফলে মধ্যনগর উপজেলা হলেও কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছে না উপজেলাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, হাওর পাড়ের মানুষের চিকিৎসা, প্রশাসনিক সেবাসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য মধ্যনগর থানাকে উপজেলায় উন্নীতকরণ করা হয়।কিন্তু মুক্তি আমাদের মিলেনি।উপজেলায় জনবল নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম না থাকায় সেই আগের দুর্ভোগ মধ্যেই আছি।

লায়েছ ভুঁইয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক মামুন মিয়া বলেন, উপজেলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হলেও মধ্যনগর উপজেলাবাসী তাদের কাঙ্খিত সুফল পাচ্ছি না। জনবল নিয়োগ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম না থাকায় এখনো দাপ্তরিক কাজে ধর্মপাশা উপজেলায় যেতে হয়।

মধ্যনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু বলেন,মধ্যনগর উপজেলার স্বীকৃতি পেলেও জনবল নিয়োগ,প্রশাসনিক ভবন এবং ইউএনও না থাকায় এখনও মধ্যনগরের জনগণকে ধর্মপাশা উপজেলার ওপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে।সর্বোপরি উপজেলার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার জনগণ।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, ইউএনও পদায়নের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।দ্রুত প্রদায়নের ব্যবস্থা করা হবে।

সিলেট থেকে আরো পড়ুন