দ্বিতীয় ধাপে দেশের ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটের দিন আজ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর)। এরমধ্যে সিলেট বিভাগের ৪৪ ইউনিয়ন পরিষদেও ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
সিলেট সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি এবং বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টিসহ মোট ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে জনপ্রতিনিধি নির্ধারণে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই ভোটারদের ঢল নেমেছে। প্রায় সব ক’টি কেন্দ্রে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ভোটারদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে।
সিলেট জেলা পুলিশের আওতাধীন বালাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ ১১টি ইউনিয়নে ১০১টি কেন্দ্রের সব ক’টি ঝুঁকিপূর্ণ ধরে কেন্দ্র প্রতি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে বালাগঞ্জের ৬টি ইউনিয়নে ৫৫টি কেন্দ্র এবং কোম্পানীগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নে ৪৬ কেন্দ্রের সব ক’টি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রেখে সাড়ে ১১শ’ পুলিশ ছাড়াও র্যাব, আনসার-ভিডিপির ৩ সহস্রাধিক জনবল নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে টিম নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন।
সিলেট সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ১৯টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ, ১৫টি কম গুরুত্বপূর্ণ, এবং সাধারণ ৮টি সাধারণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে।
বিভাগের চার জেলায় ৩টি পদে ২ হাজার ৩৭২ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ হাজার ৩০০ জন। প্রার্থীদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২১৭ জন মনোনয়ন দাখিল করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১৯৮ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন, হবিগঞ্জে ১৬ জন, সুনামগঞ্জে ৯৩ জন এবং মৌলভীবাজারে ২১ জন।
সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৪৮৭ জন মনোনয় দাখিল করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮২ জন।এরমধ্যে সিলেট জেলায় ১৫৭ জন, হবিগঞ্জে ৬০, সুনামগঞ্জে ২১৩ ও মৌলভীবাজারে ৫২ জন।সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ১ হাজার ৬৬৮ জন মনোনয়পত্র জমা দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৬২০ জন। এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৫২০, হবিগঞ্জে ৭২৪, সুনামগঞ্জে ১৭৪ ও মৌলভীবাজারে ২০২ জন।
শুধুমাত্র সিলেট জেলার ৩টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ও সাধারণ সদস্য পদে ৭৭০ জন মনোনয়ন জমা দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ৭৪৫ জন। এরমধ্যে ভোটের আগে প্রচারণাকালে মারা গেছেন দুই সদস্য প্রার্থী।
সিলেট জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটানিং কর্মকর্তারা জানান, ভোট গ্রহণ অবাদ সুষ্টু নিরপেক্ষ করতে মাঠে নিশ্ছিদ্র নিরপত্তায় মাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কর্তব্য পালন করে যাচ্ছেন।
বিভাগের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলার শুধুমাত্র জুড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে, সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় ১০টি ইউপিতে, জেলার দোয়ারাবাজারের ৯টিতে, হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ৫টিতে, সিলেট সদর উপজেলার ৪টিতে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টিতে এবং বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হচ্ছে।
এদিকে, দ্বিতীয় ধাপে সিলেটে অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনী এলাকায় বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে টানা ৫৪ ঘন্টা মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া বুধবার মধ্যরাত থেকে ২৪ ঘন্টা বন্ধ থাকবে ইঞ্জিনচালিত যানবাহন। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে এ নির্দেশনা এসেছে।
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।