সিলেটে আবারও পুলিশের খাঁচায় বন্দি হলেন বিদেশি নাগরিক। এবার সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানাপুলিশ এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, জৈন্তাপুর থানাপুলিশের একটি টহল টিম বুধবার দিবাগত (১১ নভেম্বর) রাত দেড়টায় ডিউটিরত অবস্থায় একজন ভারতীয় নাগরিক জৈন্তাপুর থানাধীন ফতেপুর ইউনিয়নের হরিপুর বাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তাঁর নির্দেশে রাত ২টায় সেই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে টহল পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই বিদেশি জানান, তাঁর নাম আলিম উদ্দিন (৪৫)। তিনি ভারতের আসাম প্রদেশের নগাও জেলার মুরাজার মহকুমা হুজাই থানার বরআউট (ট্রার্নিং) গ্রামের ইলিয়াছ আলীর ছেলে।
তবে তিনি এসময় পুলিশকে বাংলাদেশ ভ্রমণের ভিসা সংবলিত পাসপোর্ট বা অন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। শুধু মাত্র ভারতীয় নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদর্শন করেন।
পরে পুলিশ আলিম উদ্দিনকে জিজ্ঞাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। থানায় তিনি জানান, ভারতের ডাউকি সীমান্ত অতিক্রম করে গোয়াইনঘাট উপজেলার নলজুরী সীমান্ত দিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম দস্তগীর আহমেদ এ বিষয়ে সিলেটভিউ-কে বলেন, অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনায় আলিম উদ্দিন নামের ও ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশে মামলা দায়েরপূর্বক তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে দুই নেপালি নাগরিককে আটক করেছে পুলিশ। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ঘুরাফেরার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। স্থানীয় লোকজন জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- নেপালের ভোজপুর জেলার আমচক ৪নং ওয়ার্ডের জয় বাহাদুর কামি (৪৮) ও তার ছেলে শান বাহাদুর (১০)।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, কাজের সন্ধানে ভারতীয় নাগরিকের সহায়তায় সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর থানার বড়ছড়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে গত ৩ নভেম্বর তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতের গোয়াহাটিতে তাদের ফেরার কথা ছিল। এ উদ্দেশ্যেই তারা সিলেটে আসেন। কিন্তু এর আগেই তারা পুলিশের হাতে আটক হন।
এদিকে, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় জয় বাহাদুর কামি পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তারা দুজনই শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ফলে তাদেরকে পুলিশি প্রহরায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।