অভিবাসন নীতিতে জাপান বড় ধরণের পরিবর্তন আনছে। দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের জন্য দরজা বন্ধ থাকলেও এবার তা খুলতে যাচ্ছে জাপান। এমনকি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও অভিবাসী গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় জানায়, আগামী ২০২২ অর্থ-বছরের শুরুর দিকে নির্দিষ্ট কিছু চাকরিতে নিযুক্ত অভিবাসীরা জাপানে অনির্দিষ্টকালের জন্য থাকার অনুমতি পাবেন।
২০১৯ সালে কার্যকর হওয়া একটি আইন অনুযায়ী, কৃষি, নার্সিং এবং স্যানিটেশনের মতো ১৪টি খাতের ‘নির্দিষ্ট দক্ষ শ্রমিকদের’ জাপানি ভিসা দেওয়া হয়। তবে নির্মাণ ও হাজনির্মাণ খাত ছাড়া অন্য সব খাতের শ্রমিকদের জন্য পরিবারের সদস্যদের ছাড়াই পাঁচ বছরের ভিসা দেয় জাপান সরকার।
যে কারণে এ ধরনের শ্রমিকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলো দ্বিধায় পড়ে যায়। বর্তমানে দেশটির সরকার অন্যান্য খাতেও এসব বিধি-নিষেধ শিথিলের জন্য কাজ শুরু করেছে।
দেশটির সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের অভিবাসীদের নিয়োগ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ‘নির্দিষ্ট দক্ষ শ্রমিক’ জাপানে পাঁচ বছরের ভিসা পাবেন বলে জানানো হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রত্যেক মাসে প্রায় ৩ হাজার করে শ্রমিক দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আইন সংস্কারের পর তা কার্যকর হলে চীন এবং ভিয়েতনামের অনেক শ্রমিক তাদের ভিসার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য পুনর্নবায়ন এবং পরিবারের সদস্যদেরও জাপানে নিতে পারবেন।
জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র হিরোকাজু মাৎসুনো বলেছেন, এ ধরনের যে কোনো পরিবর্তনের মানেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি নয়। স্থায়ী বসবাসের অনুমতির জন্য ভিন্ন আবেদন প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়বে।
দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসন বন্ধ থাকা জাপানে ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধির কারণে তীব্র শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে। যে কারণে আবারও অভিবাসীদের জন্য সীমান্ত খুলে দিতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুত্র: রয়টার্স
সম্পাদক: এসএম নাসির উদ্দিন।
উপ সম্পাদক: দেওয়ান জাকির হোসেন।
যোগাযোগ: পশ্চিম জিন্দাবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: natunsylhetnews@gmail.com
মুঠোফোন: ০১৭১৫৫০১১৫১
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পুর্ন বে-আইনি।